শিক্ষা ঋণ চালুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জানিয়েছেন: শিক্ষামন্ত্রী

 জিবিনিউজ24ডেস্ক//

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ঋণ চালু করার কথা ভাবছে।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-লার্নিং’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সহজে শিক্ষা চালিয়ে নিতে শিক্ষা ঋণ দেয়া যেতে পারে। আমি সংসদে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়েছেন। আমরা এখন থেকে শিক্ষা ঋণ দেয়ার কথা ভাবছি। কীভাবে শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে তুলবো, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন আছে সেটা যেন তারা মেটাতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। কোনোভাবেই যেন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার না হয়।

ডা. দীপু বলেন, আমাদের বর্তমান শিক্ষানীতি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে, সেটাকে যুগোপোযোগীকরণ এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষানীতিতে ই-লার্নিং কে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, এদেশের মানুষ অত্যন্ত প্রযুক্তি বান্ধব, যার কারণে বিশেষকরে শিক্ষাকার্যক্রমে ই-লার্নিং-এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে আমাদের জন্য খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে না।

তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে ক্লাশরুমে সরাসরি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নানান প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে এবং কোভিড মহামারি মোকাবিলায় এদেশের মানুষ সাহসিকতার পরিচয় দিবে।

তিনি জানান, সামনের দিনগুলোতে কি ধরনের দক্ষ লোকবল প্রয়োজন হবে, তার একটি প্রাক নির্বাচনের মাধ্যমে সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম, অবকাঠামো এবং শিক্ষকবৃন্দের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা আরো সম্প্রসারণে মানসিকতা একটি বড় বাধা বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, মেধাবীদের শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসার জন্য এ পেশাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তুলতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরো বেশি হারে গবেষণা পরিচালনার উপর জোরারোপ করেন।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে। তিনি পরীক্ষা এবং সনদ সর্বস্ব শিক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ গড়ে তোলা সম্ভব নয়, বলে মত প্রকাশ করেন এবং শিল্পখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. কারম্যান জেড লামাংনা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ড. মো. মুরাদ হোসেন মোল্লা, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমদ, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইশতিয়াক আজিম প্রমুখ এই ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যোগদান করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন