জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এ সময় অধ্যক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন।
ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় কলেজটির দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম গত ৮ আগস্ট একটি রিট করেন।
এই রিটের ওপর গত ১০ আগস্ট শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, ভিডিওক্লিপে যা শোনা যায়, তা যদি তার (অধ্যক্ষ) কাছ থেকে হয়ে থাকে, কথাগুলো সত্য হলে তা নিন্দনীয়, অপ্রত্যাশিত।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষের মুখের ভাষা এমন হতে পারে না। এরইমধ্যে লাখ লাখ মানুষ তা শুনেছেন। এ অবস্থায় তাকে সে পদে রাখা সমীচীন হবে না। তাকে পদ থেকে বিরত রাখার আবেদন করেন আইনজীবী।’
এ বিষয়ে গত ৯ আগস্ট শুনানির সময় আদালত বলেছিলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা সত্য হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরণের ভাষা আশা করা যায় না।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।
রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গর্ভনিংবডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন