জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অভিনেতা সাদেক বাচ্চুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ইউনিভার্সাল হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
সাদেক বাচ্চুর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিনেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার হৃদযন্ত্র ৮০ শতাংশ কাজ করছে না। তাই লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়েছে তাকে।
এর আগে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় সাদেক বাচ্চুকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় রাতে সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর করোনা পরীক্ষা করালে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) তার করোনা পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, সাদেক বাচ্চুর আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। চাঁদপুরে দেশের বাড়ি হলেও জন্ম ঢাকায়। সিনেমার কিংবদন্তি মানুষ এহতেশাম 'চাঁদনী' চলচ্চিত্রে তার নাম বদলে সাদেক বাচ্চু করে দেন। সেই থেকেই তিনি এ নামে পরিচিত। টিএন্ডটি নাইট কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন সাদেক বাচ্চু।
১৯৬৩ সালে খেলাঘরের মাধ্যমে রেডিওতে অভিনয় শুরু করেন সাদেক বাচ্চু। একইসাথে মঞ্চেও বিচরণ করেন। প্রথম থিয়েটার ‘গণনাট্য পরিষদ।’ ১৯৭২-৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন এদেশের সাংস্কৃতিক বলয় নতুনভাবে তৈরি হচ্ছিল, তখন যোগ দেন গ্রুপ থিয়েটারের সাথে। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিষিক্ত হন।
প্রথম নাটক ছিল ‘প্রথম অঙ্গীকার নাটকটি পরিচালনা করেন আবুল্লাহ ইউসুফ ইমাম। সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ সহ অসংখ্য নাটকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। ঝুলিতে যুক্ত হয় প্রচুর সুপারহিট নাটক।
প্রথম চলচ্চিত্র শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’ অবলম্বনে একই নামের ছবি, নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। শহীদুল আমিন ছিলেন পরিচালক। আরও একটি চলচ্চিত্রেও সুনেত্রার বিপরীতে নায়ক চরিত্রে ছিলেন কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। খল চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ‘সুখের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রে। শহীদুল হক খানের এই ছবিতে ইলিয়াস কাঞ্চন নায়ক ছিলেন।
মৌসুমী চলচ্চিত্রে ‘চাচা ঢাকা কতদূর?’ সাদেক বাচ্চুর এই সংলাপটি ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে। এরপর বহু সিনেমায় তাকে দেখা গেছে দুর্দান্ত অভিনয়ে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন