মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি : সৌদি আরবের ৯১তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। দিবসটি উপলক্ষে বিআইএস পরিবারের পক্ষ থেকে সৌদি রাজ পরিবারসহ সকল দেশ প্রেমিক নাগরিকের প্রতি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং সকাল দশটায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সদ্য নিযুক্ত মিনিস্টার ও কাউন্সেলর এস. এম. রাকিবুল্লাহকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবেও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও কাউন্সেলর এস.এম.রাকিবুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, এসিস্ট্যান্ট ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার গোফরান, কালচারাল ডাইরেক্টর সিরাজুল সফিকুল হক প্রমুখ।
সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক খাদেমুল ইসলাম ও সিনিয়র শিক্ষিকা মিসেস সানজিদা বেগমের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষিকা মিসেস আসমা জাহান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন।
প্রধান অতিথি হিসেবে এস এম রাকিবুল্লাহন বলেন, সৌদি আরব মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র বিন্দু। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধু প্রতীম এই রাষ্ট্রের সবসময় সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি অত্র বিদ্যালয় থেকে আরো বেশি পরিমাণে দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালানোর ব্যাপারে সবাইকে আশ^স্ত করেন।
সভাপতি হিসেবে বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদ সৌদি আরবের জাতীয় দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। আমাদের দ্বিতীয় আবাস ভূমি হিসেবে এদেশে প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সবাইকে আহ্বান জানান। পরে আগত ও সংবর্ধিত অতিথির উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আফজাল হোসেন সৌদি জাতীয় দিবস উপলক্ষে সৌদি আরবের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং প্রতিষ্ঠানের সহপৃষ্ঠপোষকের দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য মিনিস্টার ও কাউন্সেলর এসএম রাকিবুল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিরাজুল সফিকুল হক বলেন ইসলামের পবিত্র ভুমি সৌদি আরব আমাদের গর্বের স্থান। এদেশের নিয়ম কানুম মেলে আমাদের চলা উচিৎ। তিনি বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন কর্মকর্তাকে সাধুবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে মুহাম্মদ আবদুল হাকিম মুসলিম উম্মার মিলনস্থল হিসেবে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেন।তিনি বলেন, এদেশেই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমন ও আমাদের পথ চলার পাথেয় ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন এই পূণ্যভূমিতেই অবতীর্ণ
হয়েছে। এদেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ইঞ্জিনিয়ার গোফরান বলেন, আমারা প্রতিনিয়ত এদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো। তিনি বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নবনিযুক্ত কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সৌদি আরবসহ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। পরে সৌদি জাতীয় দিবস উপলক্ষে সবাই প্রীতি ভোজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন