জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া, এরশাদ ও খালেদা বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও এত আত্মত্যাগ কখনো বিফলে যেতে পারে না বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার দিনাজপুর জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনা করছি। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করি যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করি, পঞ্চগড় থেকে ট্রেনে ঢাকা যাই, সৈয়দপুর থেকে বিমানে কক্সবাজার যাই, বিশ্ব দরবারে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত হন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারো মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরে গেছে। বাংলাদেশের সন্তানেরা এখন মুক্তিযুদ্ধ চর্চা করে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে চায়, জানতে চায়। বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার হয়েছে, সে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ এখন অবস্থান নিয়েছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, তখন তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিল। অপরাধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা এই জায়গা থেকে প্রেরণা পাই।
পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ী জাতিকে পরাধীনতার অন্ধকারে তলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খুনি-অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এবং এটা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গায় কুখ্যাত শাহ আজিজকে বসানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, পুরস্কৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অপরাধ যারা করেছে, তাদেরকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে। রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানকে ধর্ম দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
খালিদ বলেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধকে ধারন করি, লালন করি, হৃদয়ের মধ্যে রাখতে পারি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের যে কর্ম, সে কর্মের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারব। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারব।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, নার্গিস তাবাসসুম জুই এমপি, জেলা প্রশাসক খালেদ মো. জাকির, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্নক্ষেত্রে অগ্রগণ্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন