জিবিনিউজ24ডেস্ক//
বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলো পূর্ব লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। বেনগাজি, আল-মার্জ, সাভাসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছিলো।
গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিলো। দুর্নীতি ও জীবনযাপনের খারাপ মানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেনগাজিতে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক সদরদপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে।
প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা আল-থানি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকারের কাছে তার পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। ২০১১ সালে দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারী শাসক গদ্দাফির শাসন শেষ হওয়ার পর পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ক্ষমতায় আসে।
বেনগাজি ছাড়াও আল-মার্জে সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এই এলাকা আবার খালিফা হাফতার ও তার লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি(এলএনএ)-র শক্ত ঘাঁটি। এ ছাড়া দক্ষিণের শহরগুলিতেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও ঝুঁকির মুখে আছে লিবিয়া৷ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে৷ যুদ্ধের দামামায় ১৪৯টি পানি সরবারহ লাইনের ১০১টি নষ্ট হয়ে গেছে৷
গদ্দাফির পর থেকেই রাজনৈতিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জেরবার লিবিয়া। গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার কারণ সমানে লোডশেডিং, পেট্রোল-ডিজেলের মাত্রাছাড়া দাম এবং লোকের কাছে অর্থের অভাব।
গত ১৪ মাস ধরে পূর্ব লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে এলএনএ-র সংঘাত চলছে। এলএনএ রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ারও চেষ্টা করেছে।
জানুয়ারি থেকেই লিবিয়ার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। লিবিয়ার সব তেল সংস্থায় এলএনএ অবরোধ করে রেখেছে। এই অবরোধ ওঠানো নিয়েও কথা চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন