চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন চট্টগ্রামের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রও চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ও পর্যটনখাতে বিনিয়োগে ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন।

 

আর্ল মিলার বলেন, যেভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তাতে চট্টগ্রাম অচিরেই রিজিওন্যাল ও গ্লোবাল কানেক্টিভিটির কার্যকর যোগসূত্র হিসেবে সংযোজিত হবে। এখানে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে তাতে বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তার ইতিবাচক প্রভাব শুধু বাংলাদেশ বা অঞ্চলগত নয়, বৈশ্বিকভাবে প্রতিফলিত হবে।

এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত চসিক মেয়রের কাছ থেকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও সমস্যা এবং করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বর্তমানে কী অবস্থায় ও কোন স্তরে আছে তা জানতে চান।

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে চট্টগ্রাম এখন বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এ পরিণত করতে যাচ্ছে। রেলপথ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত যোগাযোগ সংযোগের দ্বার খুলে যাবে। মিরসরাই ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চমক দেখাবে। সমগ্র চট্টগ্রামই পর্যটন শিল্পের দ্যুতি ছড়াবে। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারাটাই আমাদের এখন বড় কাজ ও দায়বদ্ধতা। এই কাজ সম্মিলিতভাবেই করতে হবে। এ জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তির সহায়তা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

মেয়র বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ওপর জোর দিতে চাই।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এই পরিস্থিতি নিরসনের একমাত্র সমাধান হচ্ছে তাদেরকে দ্রুত নিজ মাতৃভূমিতে প্রাপ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাউন্সিলর ফর পলিটিকাল অ্যান্ড ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স স্কট এ ব্র্যান্ডন, ইকোনোমিক অ্যান্ড কর্মাশিয়াল স্পেশালিস্ট শাহীনুর সিকদার প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন