জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যেরই চড়া দাম। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে সবজি, মুরগিসহ পণ্যের দাম। তবে কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজের।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তারা বলছেন, এমন চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরের রিকাবীবাজার, বন্দরবাজার ও আম্বরখানা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, শিম ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা, পটল, ঢেঁড়স, কাকরোল, কচুর মুখি ও শশা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।
এ ছাড়া আলু ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। এছাড়া চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ও লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়।
সিলেট নগরের রিকাবীবাজারের সবজি বিক্রিতা তারিফ মিয়া জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
একই বাজারে সবজি কিনতে আসা শাহ শরিফ বলেন, বাজারে সবজির দাম চড়া থাকায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্রিকায় সবজির বাম্পার ফলনের খবর পড়ি কিন্তু বাস্তবে দাম কমছে না। দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালী মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে গরুর মাংস ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। বাজারে আমদানি করা রসুন ১১০ টাকা ও দেশি রসুন ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ১৭০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, ছোট দানার ডাল ১২০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, খোলা আটা ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সয়াবিন তেল এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।কোম্পানিভেদে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৫৫ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, বাইম ৫০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি হালি মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় আর হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে আমরাও বাড়তি দাম রাখছি। এখন কিছুদিন দাম বেশিই থাকবে। আগামী মাস নাগাদ সব পণ্যের দাম কমবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক সালাহ উদ্দিন বলেন, বাজারে কিছুদিনের মধ্যে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কমতে পারে। সিলেটে এবার সবজির ফলন ভালো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন