বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ||
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফকে অবমাননার দায়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দূর্গা পূজার সামনে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র ও যুবকদের সাথে পূজারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নবীগঞ্জ থানার ওসি সহ ১৫/২০জন আহত হয়েছেন। আশংখাজনক ভাবে দুইজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার সন্ধায় নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের পাঞ্জারাই মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি মিছিল বের করে দূর্গা পূজার সামনে আসা মাত্রই পূজারিদের সাথে মাদ্রাসার ছাত্র ও যুবকদের তর্ক বির্তক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা কালে নবীগঞ্জ থানার ওসি'র মাথায় ইট পাটকেল পড়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আহতরা হলেন, নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ (৪২), সতিশ দাশ (৬২), নিরাপদ দাশ (৩৮), বদরুল হোসেন (১৬), সাজনা বেগম (৩০), অপু দাশ (২৫) প্রিয়াংকা দাশ (২২), কুটন দাশ (৩৫), সু প্রদীপ দাশ (২৫), সৈতেন্দ দাশ (৬৫), ইব্রাহীম মিয়া (৩০), বনজিত দাশ (৫৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় পুরভী দাশ (৫২) ও
বিউটি দাশ (২০) কে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। নবীগঞ্জ হাসপাতালে রুপ দাশ (৩৫), আশীষ দাশ (৬০) কে ভর্তি করা হয়েছে। পরে গুমগুমিয়া থেকে নবীগঞ্জ আসার পথে ঐ গ্রামের নিবারন দাশের পুত্র নিরাপদ দাশের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
এতে সংঘর্ষে আরো ১৫/২০জন আহত হয়েছেন।
উক্ত সংঘর্ষের খবর পেয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সিলেটের ডিআইজি মোঃ মফিজ উদ্দিন, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এস এন মুরাদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহিউদ্দিন, সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন