জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা ঢাকা–চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে সরে এল সরকার। প্রকল্পটি আর পিপিপিতে হচ্ছে না।
তার বদলে সরকারি অর্থায়নে এখন ঢাকা–চট্টগ্রাম বিদ্যমান ৪ লেন মহাসড়ক আরও প্রশস্তকরণ এবং সড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় কমিটির (একনেক) বৈঠকে রোববার এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন ভার্চুয়াল সভায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব জানান, আলোচ্য প্রকল্পটি পিপিপিতে হবে না। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে নীতিগতভাবে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
এক্সপ্রেসওয়ের পরিবর্তে বিদ্যমান চার লেন মহাসড়ককে প্রশস্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা–চট্টগ্রাম চার লেন মহসড়কটি–ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয় অনেক আগেই। এর মধ্যে দুটি হওয়ার কথা ছিল এক্সপ্রেসওয়ে। ২১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন এক্সপ্রেসওয়েটি বর্তমানে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ এ এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আট লেন রয়েছে। যে কারণে কাঁচপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিকল্পানা নেয়া হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন