জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
এবার হত্যা মামলায় ডেরা সাচ্চা সওদা প্রধান স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ গুরুমিত রাম রহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হরিয়ানার একটি আদালত। তিনি দুই সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের ঘটনাতে দোষী সাব্যস্ত ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন কারাগারে।
সোমবার রাম রহিমের আশ্রম ডেরা সাচ্চা সওদার ব্যবস্থাপক রঞ্জিত সিং হত্যার মামলায় রায় দেয় আদালত। রায়ে রাম রহিম সিংসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন কৃষাণ লাল, জসবীর সিং, অবতার সিং ও সাবদিল।
যাবজ্জীবন জেলের পাশাপাশি, সিবিআই আদালত গুরমিতের ৩১ লাখ এবং তার সহযোগীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। এ মামলায় অভিযুক্ত ষষ্ঠজনের গত বছর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবারের রায় শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাম রহিমকে হাজির করানো হয়েছিল; আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকি চার অপরাধী।
আদালতের রায় সামনে রেখে নাশকতার আশঙ্কায় পাঞ্চকুলা ও সির্সা জেলায় কঠোর নিরাপত্তা জারি করে পুলিশ। সির্সা জেলায় রাম রহিমের আশ্রম ডেরা সাচ্চা সওদার প্রধান কার্যালয় অবস্থিত বলে সেখানে তার সমর্থক ও ভক্তরা সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল প্রশাসনের।
প্রায় ২০ বছর আগে রঞ্জিত সিংকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০০২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাম রহিমের আশ্রমের ব্যবস্থাপক ও তার অনুসারী ছিলেন রঞ্জিত।
রাম রহিম নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করতে কীভাবে নারীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেন, সে বর্ণনা সম্বলিত একটি বেনামী চিঠি ছড়িয়েছিল সে সময়।
সিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিঠিটি রঞ্জিত লিখেছেন বলে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ও নির্দেশ দিয়েছিলেন রাম রহিম নিজেই।
১৫ বছর আগে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ করেছিলেন রাম রহিম, এই অভিযোগে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ২০১৭ সালে গুরুমিত রাম রহিম সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে।
ওই রায়ের পর গুরুমিতের শিষ্যদের তাণ্ডবে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। নষ্ট হয় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। এরপর রোহতক জেলে বসে আদালতের বিশেষ সেশন। সেখানে ২০ বছরের কারাদণ্ড হয় গুরুমিতের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন