এক শ্রেণির মানুষ না বুঝেই সমালোচনা করে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সংসদসহ নানা জায়গায় সরকারের বিরোধী পক্ষের সমালোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত গত দুইবছর ধরে ডেঙ্গুসহ করোনার দুটি ঢেউ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অথচ এক শ্রেণির মানুষ জেনে বা না বুঝেই স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ঢালাও সমালোচনা করে গেছেন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ব্লুমবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সম্প্রতি জাপানের নিপ্পন কর্তৃক পরিচালিত জরিপে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম স্থান অর্জন করেছে। একটি অতি ঘনবসতি দেশের জন্য এটি ছোটখাটো অর্জন নয়। প্রধানমন্ত্রী বারবার স্বাস্থ্যখাতের প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতেও যেভাবে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ভ্যাকসিন চলে আসছে এতে করে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার অন্তত পঞ্চাশ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নয়ন শীর্ষক বিষয়াদি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংগঠন ইউএইচএফপিও এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজে এই মুহূর্তে কোনো টিকা উৎপাদন না করলেও দেশে এখন পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের টিকাই চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক মহলে সম্পর্কের কারণে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলেন সব মানুষকে তিনি ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদেরকেও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে দেশের সব মানুষই পাবেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এখন থেকে প্রতি মাসে দেশে অন্তত ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন চুক্তি অনুযায়ীই চলে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী আরো আসা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের টিকাও চলে আসছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় ফাইজার, মডার্না ও অ‌্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও দেশে আসছে। আমরাও ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি স্বাস্থ্যখাত চাইলে একদিনে ৮০ লাখ ডোজ টিকাও দেওয়া সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিকন ফার্মাসিকিউটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করীম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আ.লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ’র মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ। সভায় মূল প্রতিপাদ্য পাঠ করেন ইউএইচএফপিও’র আহ্বায়ক ডা. মোবারক হোসেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন