আসুন জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই: প্রধানমন্ত্রী

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'আসুন, জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই।'

জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এক বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি অটল থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

 

তিনি বলেন, ৭৬ বছরের পথচলায় জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানবজাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে। তিনি এ কথাও বলেন, 'আমরা বিশ্বের অনেক অংশের মানুষকে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে দেখছি। ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম এবং মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর উৎপীড়ন- এমন কিছু দৃষ্টান্ত।'

সরকারপ্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ, জাতিগত ও ধর্মীয় অসহিষুষ্ণতার মতো বিশ্বে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশ্ব একটি অদৃশ্য, মারাত্মক মহামারির সম্মুখীন। এই মহামারিতে গত দুই বছরে লাখো মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ সনদের কালজয়ী মূল্যবোধ আমাদের (বিশ্বের) জনগণকে সেবা করার জন্য আমাদের (জাতিসংঘের) শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা আগের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে।

তার (বঙ্গবন্ধুর) সুদৃঢ় ঘোষণায় বাঙালি জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিশ্বশান্তির জোরালো প্রবক্তা, আন্তর্জাতিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদানকারী এবং সর্বজনীন মূল্যবোধের বিশ্বস্ত সমর্থক হিসেবে জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, শান্তির সংস্কৃতির অন্যতম অগ্রণী প্রবক্তা বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, জনকেন্দ্রিক উন্নয়ন উদ্যোগ জোরদার এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল অর্জন স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে কভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত হওয়ার সঠিক পথে আছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন