জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার তদন্তে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছে ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এ প্রতিনিধি দলের কাছে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার বিবরণ দিলেন ভুক্তভোগী ১৪ শিক্ষার্থী।
তদন্ত কমিটির কাছে স্বাক্ষ্য দেন অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনও। ভুক্তভোগী শিক্ষাথী, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষক, ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫৪টি প্রশ্নের লিখিত জবাব স্বাক্ষরসহ গ্রহণ করেছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউজিসির সদস্য ও প্রফেসর দীল আফরোজার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার পরপরই তদন্ত করতে আসা প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে।
একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে প্রথম সাক্ষ্য দেন আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টা থেকে দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী ১৪ শিক্ষার্থী সে দিনের ঘটনার বিবরণ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে হওয়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন।
ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ইউজিসি’র তদন্ত টিম আমাকে উপস্থিত থাকতে বলায় আমি আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। আমাকে প্রায় একঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত টিমের সদস্যরা জানান, আমরা তদন্ত কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরে ইউজিসির চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী বলেন, ইউজিসির প্রতিনিধি দল এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্ত টিম আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন