মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৃত্যুর আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাজমুল ফেসবুক লাইভে হামলাকারী চারজনের নাম বলেছিলেন। তারা হলেন রাসেল, মাসুদ, তফজ্জুল ও তোফায়েল। ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হওয়াতেই হামলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় নাজমুলের। এই হত্যা মামলার তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি জানাতে পারেনি পুলিশ। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় রবিবার দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। একটি মাইক্রোবাসে আসা আট থেকে দশ জন নাজমুলকে প্রকাশে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন, এ সময় তার এক স্বজন ফেসবুক লাইভে আসলে সেখানে আহত নাজমুল নিজের ওপর হামলার কারণ এবং হামলাকারীদের নাম বলেন। পরে রাতে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এদিকে, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চান নাজমুলের পরিবার। হত্যার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার জানান, এই ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের একজন এজাহাজারভুক্ত আসামি। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ধলাই নদের বালুমহাল ও বাজারের দোকান নিয়ে এলাকাটি দু'টি দলে বিভক্ত। বালুমহাল দখল নিয়ে গত দেড় মাসে রহিমপুর ইউনিয়নে দুটি পক্ষের মধ্যে তিনবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও থানায় মামলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন