সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার, দাম বাড়ায় রেকর্ড গড়ে আবারো সেঞ্চুরি করেছে পেঁয়াজ। আবারো পেঁয়াজের দাম বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন ‘ব্যর্থ’ বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ন কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে পুরানো সিন্ডিকেটের কবলে। অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বাণিজ্যমন্ত্রী। অতিতেও তিনি পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে এ ধরনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়াতে বাংলাদেশের বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। কারণ ভারত থেকেই বেশির ভাগ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ফলে পেঁয়াজের পুরোনো 'সিন্ডিকেট' আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে ট্রাক সেলের ব্যবস্থা করেও বাজার সামাল দিতে পারছে না। গত বছর এই সময়ে পেঁয়াজের বাজার উত্তপ্ত হয়েছিল। এবারও অসাধু ব্যবসায়ীরা যেকোনো অজুহাতে পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে ফায়দা লুটতে চান।
তারা আরও বলেন, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। জনগনের মনে প্রশ্ন পেঁয়াজের বাজার কারা নিয়ন্ত্রণ করছে ? তারা কী এতই শক্তিশালী যে, সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ? অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন করেন, পেয়াজের বাজারে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নাই। নাকি পেঁয়াজের অসৎ ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত ? সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় হযতো সরকারের একটি অংশ এই পেঁয়াজ সংকটের সঙ্গে জড়িত হয়ে লুটপাটের অংশ হয়েছে, অথবা এটি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভয়ঙ্কর একটা অদক্ষতার স্বাক্ষর।
তারা বলেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের বার বার চরম ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন