জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, দু’দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বুধবার (৩ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করছে— ১৯৭১ সালে এমন বহু প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল। এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং সব ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
এসময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব খাজা মিয়া বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে তুরস্কের কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্ক পরীক্ষিত। বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দু’দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীই সুন্নি এবং হানাফি মাজহাবের অনুসারী। দু’দেশের সংস্কৃতিতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এসময় রাষ্ট্রদূত তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপমহাদেশের বহু মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিদের সোনাদানা বিক্রি করে সহযোগিতা করার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, তুরস্কের কোনিয়া অঞ্চল থেকে হযরত শাহজালাল (র.) এ উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আসেন। একই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপুরুষরা এদেশে এসে সুন্নি মতবাদের ইসলাম প্রচারে অবদান রাখেন। দু'দেশের সরকারই সবধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রদূত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং পার্ক করা হচ্ছে বলেও জানান। এছাড়া দু'দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া ২০১৬ সালে তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সময় তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
সাক্ষাৎকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন