‘নির্বাচনী সহিংসতার দায় প্রার্থী ও অনুসারীদের’

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, নির্বাচনী সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এর দায় প্রার্থী ও তাদের অনুসারীদের।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে তিনি এ কথা বলেন।

 

দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের আগের রাত থেকে অন্তত পাঁচজন সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় সহিংসতায় অন্তত ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এসব বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানান ইসি সচিব।

হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, এতো বড় নির্বাচন। ৮৪৫টি ইউনিয়নে ভোট হলো। আমরা তো মনে করি খুব ভাল ইলেকশন হয়েছে। দু’একটি ঘটনা, যেমন যে যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কেন্দ্রগুলো আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। ছয়টা জায়গায় আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, সেই ছয়টা জায়গায় কেন্দ্রেই ভোট বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা নরসিংদীতে, রায়পুরাতে দেখেছি সকাল বেলা প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মারা গেলেন। আরেকটি ঘটনাতেও প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে ইমোশনাল হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, এক পর‌্যায়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ যতগুলো ঘটনা ঘটেছে এভাবেই ঘটেছে। নি:সন্দেহে এটা খুব দু:খজনক। কিন্তু এতো বড় নির্বাচন, আমরা যদি গত ২০১৬ সালের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে এটি কোনো ব্যাপারই, ইয়ে মানে তুলনাই করতে পারেন না। অনেক কম, অনেক কম।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের বিষয়টি হলো, একটি জীবনও যাতে না যায়। এটি হলো আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা। এটি আমরা মনে করি পরবর্তী যে নির্বাচন হবে, যারা প্রার্থী আছে, প্রার্থীর অনুসারী আছে এবং অন্যান্য সেবাগ্রহীতা যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, সবাই সহনশীল হবেন। এবং আমরা মনেকরি এটি, পরবর্তীতে আরো ভালো নির্বাচন হবে। হতাহতের ঘটনা আরও কম ঘটবে। পরবর্তী নির্বাচনে যে যে জায়গায় ত্রুটি হচ্ছে সেটা তো আমরা ধরতে পাচ্ছি এবং আমরা আরও কঠোর হবে এবং ভালো নির্বাচন হবে।

ইসি সঠিক ভূমিকা নিলে সহিংসতা এড়ানো যেতো বলে অনেকে মনে করছেন, এক্ষেত্রে আপনারা দায় নেবেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, এই দায় অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের নয়। এই দায়টি হলো, যারা প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, আমি বলবো যে তারা তাদের অনুসারীদের দায় এটা। ধরুন, এই যে একটি ঘটনা ঘটলো। অভিযোগ হলো আমরা কিন্তু তদন্তে দেই। প্রতিবেদন এলেই কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনারা দেখবেন যে, এই যে শরীয়তপুরে আমরা দেখেছি সব প্রার্থীদের জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে বলেছে যে, শুধু মাত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতবে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দেখেছি। এটি সত্য বলে প্রতীয়মান হওয়ার সেই ইউপির তফসিলই আমরা বাতিল করে দিয়েছি। নতুন করে আবার নির্বাচন হবে। অর্থাৎ যেই যেই জায়গাতে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে সেগুলোর ওপর কমিশন কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন