‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্য ভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করে।

এর আগে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন মেন্ডেলা এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়া এ পুরস্কার অর্জনের তালিকায় আছেন ইন্টারনেটের অন্যতম জনক ভিন্ট সার্ফ।

 

ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি ২০২১ (ডব্লিউসিআইটি২০২১) এর তৃতীয় দিনে আজ শনিবার উইটসা মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়জান্ট কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনটি ক্যাটাগরিতে এবার বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে উইটসা। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কারের কারণ সম্পর্কে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। মৌলবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা বরাবরই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা ও ভোটাধিকারের নিশ্চিত করে গেছেন, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সময়েই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের আর্থুসামজিক উন্নয়নে তরান্বিত হয়েছে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক সব ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন তিনি এবং নারী ও কন্যাশিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কোর বিশেষ সম্মাননার মতো আরো অনেক সম্মানজনক পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তার সমাজসেবা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রসারে। তিনি জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ অর্জন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন।

দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ও প্রতিটি নাগরিকের কাছে তথ্য ও প্রযুক্তি সহজলভ্য করে দেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করায় বিশেষ অবদান রাখার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ‘আইসিটিস ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’-তে ভূষিত করে।

এ ছাড়া ভিন্ন তিনটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ আরো তিনটি পুরস্কার অর্জন করেছে। এগুলো হলো-‘সাসটেইনেবল গ্রোথ/সার্কুলার ইকোনমি’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন-১৬২৬৩। ‘ইনোভেশন ই-হেলথ সলিউশন’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বিজিএমইএ এবং ‘ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, হংকং, নেপাল, তাইওয়ান, গ্রিস, রাশিয়াসহ বাংলাদেশের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শনিবার ই-কমার্স, সাইবার সিকিউরিটি, উইটসা অ্যাওয়ার্ড এবং প্রযুক্তিব্যবসা বিষয়ক মোট ৮টি সেশন/সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির ২৫তম আসর ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মেলনে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের পর্দা নামছে আগামীকাল রবিবার।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন