চট্টগ্রাম ওয়াসায় জালিয়াতির নিয়োগ বাতিলের আহবান বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ওয়াসা এনআরডবিøউ'র (নন রেভিনউ ওয়াটার) পরিমাণ ৩০ শতাংশেরও বেশী। তার উপর জালিয়াতির মাধ্যমে জনবল নিয়োগে প্রতিষ্ঠানটিতে চলছে চরম নৈরাজ্য ও অরাজকতা। ১৫ নভেম্বর ২০২১ইং স্থানীয় দৈনিকে ‘যোগ্যতা’ নেই, পদ নেই তবু নিয়োগ পেল এমডি’র আত্মীয় দম্পতি!' শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, চাকুরীর যোগ্যতা না থাকায় বাতিলকৃত আবেদনকারী দম্পতি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আত্মীয় হওয়ার সুযোগে ওয়াসায় নিয়োগ পান। ঠিক একই অবস্থা ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ভোক্তা প্রতিনিধি নির্বাচনেও। ইতিপূর্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যবসায়িক পার্টনার জনৈক ঠিকাদার দীর্ঘদিন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হলেও পরবর্তীতে গণমাধ্যমের আলোচিত সংবাদের কারণে বাদ পড়লেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আরেক বন্ধুকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোক্তা প্রতিনিধি বানিয়ে একলাফে ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়। সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক তদন্ত হলেও অনিয়মের পরিবর্তন হয়নি। ফলশ্রæতিতে দুর্নীতির মামলায় জেল খাটা হয়েও বয়সের ভারে ন্যূয্য হয়েও দীর্ঘদিন ১৪ বছর ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই অবস্থায় আপাদমস্তক দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম ওয়াসাকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কামনা করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ওয়াসার কর্মী ব্যবস্থাপনা, নিয়োগে নানা অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন অডিট অধিদপ্তর নানা অনিয়ম পান। অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হলেও একটি সুপারিশও কার্যকর হয়নি। অন্যদিকে ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদেও কর্মী ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন, প্রধান কার্যালয়, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও অন্যান্য অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারী হাজিরায় ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণের তাগিদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মী আছেন যারা দিনের পর দিন অফিসে হাজিরা বা কোন কাজ না করেই বেতন/ভাতা তুলে নিচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ আরও করে বলেন, অফিসে কাজ না করে, হাজিরা না দিয়ে মাসের পর মাস বেতন নেয়া, নিয়োগে অনিয়ম, প্রবিধান মালায় পদ না থাকলেও গায়েবীতে নিয়োগ পাওয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক না থাকলে কর্মচারী উপস্থিতি মারত্মকভাবে হ্রাস পাওয়া, দুদকের মামলায় বরখাস্ত হওয়া শ্রমিক নেতাদের অযাজিত হস্তক্ষেপসহ নানা কারনে চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মী ব্যবস্থাপনা ও সেবার মান তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। আর এই অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির পুরো দায়ভার ভোক্তাদের ঘাড়ে গিয়ে ঠেকবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন