জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধির কারনে কৃষি উৎপাদন, রূপ্তানীমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান, নিত্যপণ্যের দাম ও গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধিসহ সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার অনেকগুলি বিষয়ের সাথে জড়িত। সেকারনে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির স্বার্থের কথা চিন্তা করে জ্বালানী তেলে ভুর্তকি প্রদান করা প্রয়োজন। সরকার হঠাৎ করে জ্বালনী তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে চলমান আগুনকে আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার জ্বালানী তেলে দাম বাড়ানোর কারনে গণপরিবহন, পণ্য পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করে দাম নির্ধারন করে দিলেও গণপরিবহন মালিক, শ্রমিকরা এই ভাড়া মানছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ভাড়ার চার্ট বিভিন্ন গণপরিবহনে সাটানো ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ হয় নি। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের বাজার ও গণপরিবহণে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের কঠোর তদারকি নিশ্চিত করে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা ও খাদ্য-পণ্যের অতিরিক্ত মল্য আদায়কারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
১৮ নভেম্বর নগরীর সিটি গেইট সুজানা স্কয়ারের সামনে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) আকবর শাহ থানা কর্তৃক আয়োজিত নিত্যপণ্য মূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি ও গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান।
ক্যাব আকবর শাহ থানা সভাপতি ডাঃ মেজবাহ উদ্দীন তুহিনের সভাপতিত্বে গণঅবস্থান কর্মসুচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব মহানগরের সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, চান্দগাঁও থানা সভাপতি মুহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি এবিএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব সংগঠক ও প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হক, ক্যাব বন্দরের আলমগীর বাদসা, প্রশিকার সমন্বয়কারী আবদুস সাত্তার, সংস্কৃতি কর্মী জসিম আহমদ, মোস্তাফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সজীব প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন সরকারের মাঠ পর্যায়ে তদারকির অভাবে নিত্যপণ্য মূল্যের বাজার ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম-বাড়ায় আর কমায়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রণোদনার নামে ব্যবসায়ীরা সরকারী নানা সুবিধা গ্রহন করলেও অতিমুনাফা লাভের মনোবৃত্তি কমে নাই। ব্যবসায়ীরা আর্ন্তজাতিক বাজারের দোহাই দিলেও চাল, সয়াবিন তেল, গ্যাসের দাম কমলেও দেশের বাজারে তার প্রতিফলন নেই। টিসিবির কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করে সীমিত আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং সুবিধা বাড়ানোর দাবি করা হলেও সরকার বিভিন্ন সময় টিসিবির পণ্যেরও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
বক্তাগন আরও অভিযোগ করে বলেন, করোনায় সাধারণ জনগনের জীবন জীবিকা নির্বাহে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ তৈরী করেছে। ফলে গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহনসহ রূপ্তানী পণ্য পরিবহণে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হচ্ছে। গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহনে সরকারের মাঠ পর্যায়ে নজরদারি না থাকায় গণপরিবহণের ভাড়া নৈরাজ্য করে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। অবিলম্বে গণপরিবহনে এই ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের আহবান জানানো হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন