জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সররাজ। তিনিই আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
কয়েকদিন আগেই বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লিবিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী। এবার লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সররাজও জানিয়ে দিলেন, অক্টোবরের শেষে তিনি নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চান। তবে তিনি শুধুমাত্র বিক্ষোভের জন্য পদত্যাগ করছেন না। তিনি পদত্যাগ করছেন দেশের বিবদমান বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতার মধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পথ তৈরি করতে। এই গোষ্ঠীগুলি ১৮ মাসের মধ্যে ভোট করে নতুন সরকার গঠন করা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
২০১১ সালে দীর্ঘ সময়ের স্বৈরাচারী শাসক গদ্দাফির শাসন শেষ হওয়ার পর পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ক্ষমতায় আসে। সররাজ ছিলেন ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারের প্রধান এবং জাতিসংঘ তাঁর সরকারের সাথে ছিল। তাঁর সরকারকে বিভিন্ন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর পূর্ব লিবিয়ায় ক্ষমতায় ছিল অন্তর্বর্তী সরকার। পূর্ব লিবিয়া হলো খালিফা হাফতার ও তাঁর লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)-র শক্ত ঘাঁটি।
পূর্বের মতো পশ্চিম লিবিয়াতেও ত্রিপোলিসহ অন্য শহরে দুর্নীতি, বিদ্যুৎ সংকট, জিনিসপত্রের মাত্রাছাড়া দাম নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছিল। এই বিক্ষোভ নিয়ে সররাজ সরকারের মধ্যে মতবিরোধ সামনে চলে আসে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে সরকার তৈরি করা নিয়ে একমত হয়।
এই পরিস্থিতিতে সররাজ টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বলেছেন, আমি জানাতে চাই, খুব দেরি হলে আগামী মাসের শেষের দিকে আমি নতুন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেব।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন