জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
আশা জাগিয়েও সান্ত্বনাটুকু পাওয়া হলো না। মিরপুরে আজ শেষ বলের নাটকীয়তায় পাকিস্তান ম্যাচ জিতল ৫ উইকেট। এতে ঘরের মাঠে প্রথমবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দেশেও ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণ করল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
১২৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচটা জমিয়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহই। সাহসী নেতার পরিচয় দিয়ে শেষ ওভারটা নিজেই করতে আসেন। ৩ উইকেট শিকার করে চরম নাটকীয়তা জারি রাখেন শেষ বল পর্যন্ত। ওই বলে মোহাম্মদ নওয়াজ বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে জেতালেও এর ঠিক আগে তাঁর কাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২ রান। মাহমুদউল্লাহর বল সামলাতে পুরোপুরি তৈরি ছিলেন নওয়াজ। মাহমুদউল্লাহ বল ছাড়ার সময়ও পাকিস্তানি ব্যাটার ছিলেন প্রস্তুত। এমনকি বল ছাড়ার পরও তাঁকে অপ্রস্তুত দেখায়নি। কিন্তু বল পিচড হওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে আচমকা সরে যান নওয়াজ।
ভেতরে ঢোকা বল গিয়ে আঘাত হানে নওয়াজের স্টাম্পে। আম্পায়ার ডেড বল দিলে কারণ জানতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ সময় ব্যাটার নওয়াজ ও আম্পায়ার তানভীর আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। পরে ডেড বল মেনে নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছে নওয়াজ সময়মতো বল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কি না। কারণ, ডেলিভারিটি বৈধ হলেই ১ রানে জিতে যেত বাংলাদেশ।
নওয়াজের কাণ্ড নিয়ে মাহমুদউল্লাহর আপত্তি থাকলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে বলছেন, ‘একদম শেষ মুহূর্তে সে (নওয়াজ) সরে গেছে। আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বলটি বৈধ কি না। আসলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’
সাধারণত বল ডেলিভারির আগে সমস্যা হলে না খেলার আপত্তি জানাতে পারেন কোনো ব্যাটার। বোলার তখন বল ছুড়লেও ব্যাটারের অবস্থা দেখে আম্পায়ার ডেড বল দিতে পারেন। কিন্তু বোলার বল ছোড়ার পরও প্রস্তুত ব্যাটারের হঠাৎ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ার ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন