জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। অভিযোগে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, হাবিবুর রহমানের সময় প্রায় ৫ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। এখানে অন্তত ৪ হাজার নিয়োগে অনিয়োমের মাধ্যমে অনৈতিকভাবে লেনদেন করা হয়েছে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস পদে প্রায় ১৪ হাজার জনবল কর্মরত আছে। এরমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার জনবলকে দূরদূরান্তে পাঠিয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে আবার পোস্টিং দেয়া হয়। অথচ তিনি নিজ আত্মীয়-স্বজনকে নিজ জেলায় সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাখছেন। এছাড়াও বরিশালে জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি নারীঘটিত ঝামেলায় জড়ান। এঘটনায় তাকে স্ট্যান্ড রিলিজও দেয়া হয়।
দুদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিচালক প্রশাসন হাবিবুর রহমানের ভাই ফরিদ মেম্বার ও স্টাফ অফিসার মো. মহিউদ্দিন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যান্ডিডেট এর মাধ্যমে সকল নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা লেনদেন করে থাকেন। পরে এসব টাকা হিরণ মাস্টারের মাধ্যমে ডলারে রুপান্তর করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের যেসব গাড়ি রয়েছে তা উপরে চাকচিক্য ভিতরে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। যার অধিকাংশ গাড়ি পূর্বাচলে পড়ে আছে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিবকে বদলী করানোর জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসে অযোগ্য ড্রাইভারদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ড্রাইভার নিয়োগে অনিয়মের কারণে এখন ফায়ার ফাইটাররা এসব গাড়িতে উঠতে ভয় পান। অভিযোগে বলা হয়, এসব গাড়ি চালককে চার মাসের বদলে আট মাস প্রশিক্ষণ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ঘুষ লেনদেন ও অনৈতিকভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।
অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, হাবিবুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক প্রভাবশালী আমলার নাম ভাংগিয়ে চলেছে এবং বর্তমানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও দুদকের এক বড়ো কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, আমি যোগ দেয়ার আগে ফায়ার সার্ভিসে কয়েকটি দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ছিল। এগুলো আমরা বন্ধ করেছি। এজন্য কতিপয় লোক বার বার ভুয়া অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তারা যেসব অভিযোগ দিয়েছে সেখানে কোথাও উল্লেখ করতে পারেনি আমি কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। তারা বলেছে আমার ভায়রা ভাই একজন মেম্বার তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য অথচ আমার ভায়রা ভাই একজনই তিনি নৌ বাহিনীতে জব করেন। ভুয়া অভিযোগ করলে তথ্য যে ঠিকঠাক থাকে না এটা তার প্রমাণ। এর বেশি কথা বলতে রাজি হননি হাবিবুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন