ভারতের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

gbn

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে আখাউড়া-আগরতলা রেল রুট পুনরায় চালু করা হবে। আমাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আখাউড়া-আগরতলা রেল রুটের সব কিছুই (প্রয়োজনীয় স্থাপনা) সেখানে রয়েছে। এখন শুধু তা পুনরায় চালু করতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগের উন্নতি হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এই দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।

দোরাইস্বামী প্রধানমন্ত্রীকে জানান,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় দিবস উদযাপনে ভারতের রাষ্ট্রপতি যোগদান করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।

দোরাইস্বামী আরো বলেছেন, এটি একটি বিশেষ বছর এবং বছরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী একই বছরে বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশ ভারতের কাছে অত্যন্ত প্রিয় দেশ।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা পারস্পরিক সংযোগের একটি সুন্দর কাঠামো প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক তুলে ধরবেন। বর্তমানে দুই দেশের কর্মকর্তারা ভারতীয় প্রেসিডেন্টের সফর চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। কভিড-১৯-এর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশকেই মারাত্মক ভাইরাস মোকাবেলায় সতর্ক থাকতে হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার তাদের কভিড ১৯ মোকাবেলার খারাপ সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একটি অত্যন্ত দুর্লভ আলোকচিত্র হস্তান্তর করেন। আলোকচিত্রটিতে ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে একজন নিরাপত্তা সদস্যকে তার সঙ্গে দুপুরের আহারের জন্য তার বাড়িতে নিতে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি কিছু সংবাদপত্রের ক্লিপিংস এবং অডিও ও ভিডিও সংবলিত একটি পেনড্রাইভও হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের দখলদার বাহিনীর হাতে বন্দিদশায় তার ভয়াবহ দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কিন্তু ভারত যখন বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখন তা তাদের জন্য মহান বার্তা ছিল।

অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার বিনয় জর্জ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন