-মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন- ইসরায়েলের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকে অনুসরণ করবে সৌদি আরব। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই আশা প্রকাশ করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তেল আবিবের সঙ্গে অন্যান্য যেসব আরব দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। বাদশাহ সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর ট্রাম্প বলেন, সঠিক সময়েই সৌদি আরব এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আরও অনেক দেশ আছে। তারা শিগগিরই আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সারিতে আরও ৭, ৮ অথবা ৯টি দেশ আছে। বড় একটি দেশ-সহ আরও অনেক দেশ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে। আনুষ্ঠানিক ওই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ওই অঞ্চলের কয়েক দশকের সংঘাত ও বিভাজনের অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভোরের সূচনা করবে এই চুক্তি। তিনি বলেন, সাহসের জন্য এই তিন দেশের নেতাদের ধন্যবাদ। আমরা ভবিষ্যতের জন্য একটি বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছি; যেখানে সব বিশ্বাসের ও সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে বসবাস করবেন। চলতি মাসে আরব বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে বাহরাইন। এর আগে ১৯৭৯ সালে মিসর, ১৯৯৪ সালে জর্ডান এবং গত আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিন রশিদ আল জায়ানি। তিনি বলেন, এখন আমাদের জনগণের প্রাপ্য স্থায়ী শান্তি এবং সুরক্ষা আনতে জরুরি ও সক্রিয়ভাবে কাজ করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন