গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতি আড়ালের ব্যর্থ চেষ্টা : ন্যাপ

 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ফিডিং কার্যক্রম আরও উন্নত করতে খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে বিদেশে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে হৈ চৈ করার মতো অবস্থা নেই’ বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে ব্যর্থতা ও দুর্নীতি আড়ালের ব্যর্থ চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

 

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

 

নেতৃদ্বয় ‘প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকতায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ঢুকে পড়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন’ তাকে হাস্যকর ও হতাশার বহি:প্রকাশ অবিহিত করে বলেনগণমাধ্যমে দুর্নীতি ও ব্যর্থতার সংবাদ প্রকাশিত হলেই তা তথা কথিত ছায়া ‘বিএনপি-জামায়াত’ এর কথা বলে আড়াল করবার ব্যর্থ চেষ্টা করে কোন লাভ নাই। প্রতিমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোকা মনে করলেও দেশের মানুষ এতটা বোকা নয় যেখিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশ যাবার উদ্দেশ্য কি এবং এর সাথে জড়িতরা কারা তা বুঝে না।

 

তারা বলেনপ্রধানমন্ত্রী সকল ভালো কাজ আজ এই সকল ব্যর্থ ও দুর্নীতির আশ্রয়-পশ্রয় দানকারীদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। ব্যর্থ মন্ত্রীদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে অসৎ আমলারা হাত ধোয়া শিক্ষার নামেপুকুর খননগরুর প্রজননআলু ও ধান চাষের অভিজ্ঞতা অর্জনখিচুড়ি রান্না ও বিতরন শিক্ষার নামে লুটপাটের এক উৎসব চালাচ্ছে। আর ব্যর্থ মন্ত্রীরা এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্য়কর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন না করে বরং তা আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। দিন শেষে সকল ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন নিজেরা। তার ভবিষ্যত পরিনতি খুব বেশী সুখকর হবে না।

 

নেতৃদ্বয় বলেনকরোনাকালে যারা প্রকল্পের টাকায় অপ্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশ যাওয়া প্রাধান্য দিয়ে প্রস্তাবনা প্রণয়ন করতে পারেন তাদের দেশপ্রেমরুচিবোধ ও বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। খিচুড়ি রান্নার অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশ ভ্রমণ করার পরিকল্পনার সাথে যেসব হর্তাকর্তা জড়িত তাদের বিবেকবোধ বলে কি আর কিছুই অবশিষ্ট নেই?

 

তারা বলেনশুধুমাত্র সরকারি টাকা অপচয় করার জন্য বা নয় ছয় করার জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে বিদেশ ভ্রমণ বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকার করোনাকালীন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যায় নিপতিত। গ্রামীণ অর্থনীতি মন্দার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। চাকরি হারিয়ে দিশেহারা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। শিল্প-কারখানায় উৎপাদনের গতি মন্থর। রেমিটেন্সের চাকা প্রত্যাশা মাফিক ততটা সচল নয়। বিদেশে কর্মসংস্থান ধীরে ধীরে কমে আসছে। এমন একটি জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিলাসী প্রস্তাব যারা প্রস্তুত করতে পারে তাদের শুধু ধিক্কার নয়চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনাটা জরুরি। তা না করে যখন সরকারের মন্ত্রীরা এসকল দুর্নীতিবাজদের আড়াল করার চেষ্টা করেন তখন বুঝতে হবে জনগনের ভাগ্যে অবিষ্যতে আরো দুর্ভোগ রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন