করোনা সংক্রমণ বাড়লে ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: প্রধানমন্ত্রী

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়লে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি, এখন শিক্ষার্থীদেরও দিচ্ছি। বর্তমানে আবার নতুন আরেকটা ঢেউ আসছে। কাজেই এটা মাথায় রাখতে হবে যদি করোনা বিস্তার লাভ করে তা হলে যে কোনো সময় আবার কিন্তু সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ম্যুরাল উদ্বোধন এবং ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ দিন করোনার জন্য বন্ধ ছিল। এখন সমস্ত স্কুল-কলেজগুলো খুলে গেছে। সবাইকে এখন পড়াশোনা করতে হবে। যার যার স্কুলে ফিরে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে এই করোনাভাইরাস কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

 

সম্প্রতি রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চাপায় নটরডেম কলেজের ছাত্র মৃত্যুর পরদিনই উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আরেকটি ময়লার গাড়ি চাপায় প্রেসকর্মী মারা যাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর কী রহস্য? দক্ষিণে মারা গেল, পর দিন উত্তরে মারা গেল, এর কারণটা কী? এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ময়লার গাড়ি যারা চালায় তাদের গাড়ি চালানোর মতো দক্ষতা আছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি দেখলাম এক শিক্ষার্থী বলেছে আমি শুধু গাড়িতেই চড়ি, কাজেই আমি বাসে চড়া জানি না। কথাটা ঠিক না। আমাদের জীবনে আমরা যেমন গাড়িতেও চড়েছি, বাসেও চড়েছি।

শৈশব ও রাজনৈতিক জীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসে তো আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, ধানমন্ডিতে যখন বাস শুরু হলো, আমরা বাসে করেই যেতাম। ধানমন্ডি থেকে আজিমপুর স্কুল সবাই আমরা বাসে করেই যেতাম। আমি ৮১ সালে বাংলাদেশে এসে যখন সমগ্র বাংলাদেশ সফর করি তখন আমরা বাস ভাড়া করে নিয়ে যেতাম, মিনি বাসে যেতাম। বাংলাদেশে আমার মনে হয় এমন কোনো কিছু নেই যেখানে আমি চড়ি নাই। সেভাবে চড়ে চড়েই, কাজ করে করেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়ে আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হচ্ছি। আমি যদি বাংলাদেশকে না চিনতাম তাহলে এতদ্রুত বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারতো না।

তরুণদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১০-১৪ বছর আগের বাংলাদেশ এখনকার বাংলাদেশে অনেক তফাৎ। এখনকার বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেটা দেখছে সেটা কিন্তু চিরদিন ছিল না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে তাদের।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারপার্সন লাকী ইনাম এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান ও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ম্যুরাল এবং ‘জয়িতা টাওয়ার’এর ওপর দু’টি ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন