সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
আজ ৩ ডিসেম্বর, ৩০তম আন্তর্জাতিক ও ২৩তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। । দিবসটি উদযাপনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। তাছাড়া সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়তে প্রয়োজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ’। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি জেলায় সমাজসেবা অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক বাণীতে তারা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং দিবসটির সাফল্য কামনা করেন ।
এদিকে,দিবসটি উপলক্ষে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'অর্গানাইজেশন ফর ডিসএবলড ইম্প্রুভমেন্ট এন্ড রাইটস (অদির) বাংলাদেশ আয়োজন করে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অদির প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ২০ জন প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অদির বাংলাদেশ সংস্থাটির চেয়ারম্যান মিসেস কোহিনূর আজাদ মলি ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শাকিল আজাদ মনন।
অর্গানাইজেশন ফর ডিসএবলড ইম্প্রুভমেন্ট এন্ড রাইটস (অদির) বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মিসেস কোহিনূর আজাদ মলি জিবিনিউজ২৪ কে জানান, 'সমাজের সব স্তরের কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এই দিবস পালনের লক্ষ্য। প্রতিবন্ধীদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা, প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আমরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকি।অদির বাংলাদেশ এক যুগ ধরে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।'
অদির বাংলাদেশ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও প্রিন্সিপ্যাল শাকিল আজাদ মনন জিবিনিউজ২৪ কে জানান, 'শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই আজকের এই আয়োজন। প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হয়। সারা বিশ্বে প্রায় দুই বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ মানব জীবনে যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে স্বভাবতঃই প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনকেও তা প্রভাবিত করেছে।আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা যাতে একটু আনন্দ পায় সেকারনে আমরা তাদেরকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। আমাদের আজকের এই প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে।'
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন