জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে বাজে ভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা। সিরিজ বাঁচাতে হলে ঢাকা টেস্টে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো নিজেদের মাঠে টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ দল।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট আট উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে হারলেও ঢাকা টেস্টে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এমনটি জানিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ বলেন, আমাদের শক্তি হলো ব্যাটিং। দুই থেকে আড়াই দিন বা পাঁচ-ছয় সেশন যদি ব্যাটিং করতে পারি তাহলে খেলায় ফিরতে পারব। অবশ্যই আমি আশাবাদী। কেউই তো ম্যাচ হারার জন্য মাঠে নামে না। আমরা অবশ্যই জেতার জন্যই নামব।
এই টেস্টে ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পাবে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা হয়নি তার। ঢাকা টেস্টে সাকিব আল হাসানের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ দলে।
সাকিব ছাড়াও ঢাকা টেস্টে পেসার তাসকিন আহমেদের সার্ভিস পাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তাসকিনের পেসকে মিস করেছিলো দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডান হাতের ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুর্হূতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন।
সাকিব ও তাসকিনের দলে ফেরার অর্থ হলো, একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। দুই ইনিংসে ব্যর্থ ওপেনার সাইফ হাসান অসুস্থতার কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট নাইম শেখকে দলে ডেকেছে। আছেন নতুন মুখ মাহমুদুল হাসান জয়ও । ইনিংস শুরু করার সামর্থ্য তার আছে। তাই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মূলত তিনটি পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলে একটিতে ড্র আর ৯টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। সব মিলে বাংলাদেশ ১২২টি টেস্ট খেলে জয়ের মুখ দেখেছে মাত্র ১৪টিতে। বাকি ৯২টিতে হেরেছে।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২২টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে, হেরেছে ৯২টিতে। এরমধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারে। বাকী ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ/মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ : আবিদ আলি, আব্দুল্লাহ শফিক, আজহার আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাওয়াদ আলম, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি, সাজিদ খান, নুমান আলি ও শাহিন আফ্রিদি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন