জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
বৃষ্টি বিঘ্নিত ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরে লজ্জার ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করা পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৫ করে বাংলাদেশ। ফলে ইনিংস এবং ৮ রানে হারের স্বাদ পায় মুমিনুলরা। দিনের ৫ দশমিক ২ ওভার বাকি থাকতেই তাদের গুটিয়ে দিয়ে চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও জয়োল্লাসে মেতে ওঠে সফরকারীরা।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের শেষ দিনে আর মাত্র ৫.২ ওভার উইকেট থাকতে পারলেই ম্যাচটি ড্র করা যেতো। অথচ বৃষ্টি ও বাজে আবহাওয়া কারণে প্রায় আড়াই দিনই খেলা হয়নি। এই হারের ফলে দুই ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশও হলো বাংলাদেশ।
শেষ দিন বাংলাদেশের ৩ সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান কিছুটা হাল ধরেন। তবে লজ্জার হার এড়াতে এই দৃঢ়তাও যথেষ্ট ছিলো না। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক দলের এমন হারে হতাশা প্রকাশ করেন। যদিও তিনি নিজেই দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১ ও ৭ রান করেন।
মুমিনুল বলেন, আমার কাছে মনে হয় পুরো হতাশার। বিশেষ করে ১-৪ ব্যাটাররা, মানে এক কথাল বলবো খুবই বাজে দিন ছিলো গতকাল। এক সেশনে ৭ উইকেট হারিয়েছি। এখানে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। আমরা খুব বাজে ব্যাট করেছি। এরকম অবস্থায় ফিরে আসা কঠিন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক-সাকিব ভাই ও লিটন-মিরাজ খুব ভালো চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলেন, দেখেন আমার আউটটা সিলি মিসটেক ছিলো, আমার হয়তো তাড়াহুড়ো করে রান নেওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়নি। কারণ ওই উইকেটে মুশফিক ও লিটনকে সমর্থন করবো। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিলো অনেক। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিলো যেমন মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্যা উইকেটে মেরেছিলো দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই। আসলে এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেললে কঠিন হয়ে যায়। আমার মনে হয় উইকেটটা বেশি বাজে ছিলো। ওই সময় এসব রান না নেয়াটা বেটার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন