জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
টর্নেডোর আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কেনটাকির বিভিন্ন এলাকা। অঙ্গরাজ্যটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে শতাধিক হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ৩৬৫ কিলোমিটার গতিতে কেনটাকিজুড়ে আঘাত হানে টর্নেডো। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইলিনয়, আরকানসাস ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যেরও কয়েকটি এলাকা। এসব স্থানেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো ২০০ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত একটি গমনপথ ধরে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানান, শুক্রবার রাতে অন্তত চারটি টর্নেডো কেনটাকির বিভিন্ন অংশে তাণ্ডব চালায়, এতে একডজনেরও বেশি কাউন্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাথমিক টর্নেডোটি রাজ্যটির ভেতর দিয়ে ২২৭ মাইলেরও (৩৬৫ কিলোমিটার) বেশি পথ অতিক্রম করেছে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তেমনটি কখনো দেখিনি আমি। ৫০ জনেরও বেশি কেনটাকিয়ানসকে আমরা হারিয়েছি এটি আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ টর্নেডোকে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর বেশিয়ার। তখন তিনি বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সংখ্যাটা ৭০ থেকে ১০০ হতে পারে। এটি ধ্বংসাত্মক ছিলো।
গভর্নর বলেন, টর্নেডোর আঘাতে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানার ছাদ ধসে পড়ে। এতেই বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে মধ্যরাতের আগেই রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় ওই কারখানার ভেতরে শতাধিক কর্মী ছিলেন। উদ্ধারকারীরা ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। সেখানে এখনো সন্ধান চালানো হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন