জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
হাড়কাঁপানো শীত, কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টির মতো নেমে আসা কুয়াশায় নাস্তানাবুদ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ।
জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ সাধ্য অনুযায়ী গায়ে জড়িয়েছেন গরম কাপড়। কারও কারও গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়ছেন কাজের সন্ধানে। ঠান্ডায় কাঁপছেন শিশুসহ বৃদ্ধরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কামারখন্দ উপজেলার চরকামারখন্দ গ্রামের দিনমজুর তয়জাল হোসেন জানান, করোনা পরবর্তী কাজের সঙ্কট। কাজ না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতে হচ্ছে। এক দিকে খাদ্য অন্যদিকে শীতে গরম কাপড় সঙ্কটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে আছি।
তাড়াশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, দিন দিন তাপমাত্রা কমছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
উত্তরাঞ্চল ছাড়াও সিলেট অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ মধ্যাঞ্চল, বরিশাল অঞ্চলে শীত ও কুয়াশা বিস্তৃত হচ্ছে। গতকাল শ্রীমঙ্গলে পারদ নেমেছে ১০.৯, ঢাকায়ও ১৬.৭ ডিগ্রি সে.। সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন শহর কক্সবাজারেও পারদ নেমে গেছে ১৭.৬, কুতুবদিয়ায় ১৩ ডিগ্রিতে।
তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নামলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টা থেকে আসছে সপ্তাহজুড়ে প্রায় সারা দেশে শীতের কামড় আরো বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সাথে হিমালয় অঞ্চল হয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। শীতের সাথে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় মাঠ-ঘাট, সড়ক, শহরতলী, গ্রাম-জনপদ ঢাকা পড়ছে। কুয়াশার কারণে রাত থেকে সকাল অবধি যানবাহন চলাচল ব্যাহত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাতের বেলায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতি সীমিত রাখা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপবির্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন