জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //
নারীদের নাম প্রকাশ নিয়ে দীর্ঘদিনের সংস্কার ভেঙে অবশেষে সন্তানের জাতীয় পরিচয় পত্রে বাবার পাশাপাশি মা হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের নারীদের নাম। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এসংক্রান্ত আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। নারীদের পরিচয়ের স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘ দিন থেকে চলা আন্দোলনের জেরে ওই সংশোধনী আনা হয়।
নারী অধিকার কর্মীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে আফগানিস্তান সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটির অনেক অংশে এখনও কোনো নারীর নাম প্রকাশ্যে এলে তাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়; কোথাও কোথাও একে অপমানজনক বলেও বিবেচনা করা হয়। এ রীতির কারণে এতদিন ধরে আফগানিস্তানে শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কেবল বাবার নামই থাকতো।
বিবিসি জানিয়েছে, তিন বছর আগে নারীদের নাম প্রকাশ্যে আনা প্রসঙ্গে আফগানিস্তানে ‘হয়ার ইজ মাই নেম’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা দেশটির অনেক পার্লামেন্ট সদস্য ও সেলিব্রেটির সমর্থন পায়। ওই সময় থেকেই সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জোরাল হতে থাকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্য একটি ক্যাম্পেইনেও নারী অধিকার কর্মীরা পরিচয় দেওয়ার সময় নিজের নামের পাশপাশি মায়ের নাম ব্যবহার করেছেন।
শেষ পর্যন্ত সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘হয়ার ইজ মাই নেম’ হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনের প্রতিষ্ঠাতা লালেহ ওসমানি। তিনি বলেন, ধারাবাহিক প্রচারণা এবং দাবির পক্ষে নাগরিক ও প্রচারকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ফলেই যে এ বিজয় এসেছে, তাতে কোনো সন্দেহই নেই।
আফগান মন্ত্রিসভার আইন বিষয়ক কমিটি সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যুক্ত করার সিদ্ধান্তকে ‘লৈঙ্গিক সমতার পক্ষে বড় একটি পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছে।
কাবুলের পার্লামেন্ট সদস্য মারিয়াম সামা এক টুইটে সন্তানের পরিচয়পত্রে মায়ের নাম যোগ করার আন্দোলনে যারা যারা ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’ করেছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের সংগ্রাম সফল হয়েছে,”।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন