জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে সব বিতর্কের অবসান করা প্রয়োজন বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে সংলাপ এ অভিমত জানান জাসদের প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, সহসভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন ও রেজাউল করিম তানসেন।
আলোচনার শুরুতেই ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে সাধুবাদ জানান জাসদের নেতারা। সংলাপে জাসদ নেতারা রাষ্ট্রপতিকে তাঁদের মতামত জানান।
দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পাঁচ বছর পর পর যেন ইসি গঠন করতে গিয়ে বিব্রত হতে না হয়, সে কারণেই তারা এই আইন প্রণয়ন এবং আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে পাঁচ বছর পর পর একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে যেন স্থায়ী একটি সমাধান পাওয়া যায়, তার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ভবিষ্যতে আইনি কাঠামো করতে রাষ্ট্রপতি যেন সরকারকে দিকনির্দেশনা দেন, আমরা সে কথা বলেছি।
ইসি গঠনে সার্চ কমিটি করতে দেওয়া মতামতে জাসদ জানায়, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়াকে সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী কাঠামোগত রূপ দেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সব বিতর্কের অবসান করা প্রয়োজন।
জাসদ আরো জানায়, সার্চ কমিটি গঠনে সরাসরি কোনো ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেওয়া সমীচীন।
এর আগে, গত সোমবার জাতীয় পার্টি প্রথম দল হিসেবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে করে। আজ দ্বিতীয় দল হিসেবে জাসদ অংশ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি পর্যায়ক্রমে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবেন। সংলাপ শেষে সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটিই রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নাম নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করবে। সেখান থেকে সিইসিসহ কমিশনারদের নির্বাচন করবেন রাষ্ট্রপতি। ২০১২ ও ২০১৭ সালে একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন