জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
সময়ের চিরায়ত নিয়মে বিদায় নিচ্ছে ২০২১ সাল। বিদায়ী বছরটি ছিল ২০২০ সালের মতো বিষময়। গত দুই বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আনুবীক্ষণিক দানব করোনা। বিদায়ী বছরজুড়েই চলে অদৃশ্য এই ভাইরাস থেকে মুক্তির লড়াই। এরই মধ্যে আশার আলো ছড়ায় করোনা ভ্যাকসিন। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। বছরের শেষ মাসে নতুন হুমকি হয়ে বিশ্বে হানা দিয়েছে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। এতে আবারও নতুন করে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। ফলে শঙ্কামুক্ত হয়ে নতুন বছরে পদার্পন সম্ভব হলো কই!
করোনার ছোবলে বছরের অর্ধেক সময় জুড়েই প্রায় স্থবির হয়ে ছিল অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সবকিছু। বিশ্বের অন্যসব দেশের মতোই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চাকাকে কিছুটা হলেও স্থবির করে দেয় ঘাতক করোনা। তবু বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলো যখন বিপর্যস্ত, তখনও বর্তমান সরকারের অসামান্য কৃতিত্বে দেশের অর্থনীতি সচল রেখেও কার্যকরভাবে করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। প্রমত্তা পদ্মা সেতুর বুকচিরে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণযজ্ঞ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে রাজধানীতে মেট্রোরেল নির্মাণ। দেশের ইতিহাসে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে দারিদ্র্যের হার ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। সরকারের দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশ পেয়েছে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
আলোর উল্টোপিঠের অন্ধকারের মতোই বিদায়ী দুর্নীতির বিষ সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। বড় বড় অর্থ আত্মসাতের ঘটনার পাশাপাশি ছোটখাটো দুর্নীতির ঘটনাও অব্যাহতভাবে ঘটেছে। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারের বিরুদ্ধে তিন দফায় ২৩টি মামলা করা হয়েছে। ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন পিকে হালদার।
এ বছর সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুর্নীতি। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুস্থদের মধ্যে গত জানুয়ারি ও জুনে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এমন প্রকল্পের বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্মিত ঘরের মান নিয়ে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। কোথাও নির্মিত ঘর ধস পড়ে, কোথাও বা বালু সরে ভবনে ফাটল দেখা দেয়। প্রকল্পের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, এমনকি গৃহহীনদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ২২ জেলার ৩৬ উপজেলায় ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পায়। ওই ঘটনায় এক উপ-সচিবসহ সরকারের পাঁচ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। তবে আলোচিত এমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
করোনার কারণে এই বছর উচ্চ আদালতে কখনো ভার্চুয়ালি আবার কখনো শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালাতে হয়েছে। তবে বছরজুড়ে বিভিন্ন রিট, মামলা ও রায়ের জন্য মানুষের দৃষ্টি ছিল উচ্চ আদালতের দিকে। পিকে হালদারকা- নিয়ে বিভিন্ন আদেশ, দুই শিশুর জাপানি মায়ের আইনি লড়াই, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ২৮০ ঋণখেলাপিকে হাইকোর্টে তলব, পাবজি-ফ্রি ফায়ার গেম বন্ধের নির্দেশ, বিচারক কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া, চিত্রনায়িকা পরিমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার বিরুদ্ধে অভিমত প্রদান, হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা অপসারণ, ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠন, ইজিবাইক চিহ্নিত ও অপসারণসহ বিভিন্ন আলোচিত রায় এবং আদেশের কারণে বছরজুড়ে উচ্চ আদালত ছিল সরগরম।
এ বছরের আলোচিত ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে এই প্রতিবেদনে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সরকারিভাবে ওই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে এই প্রতিবেদন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে অপসারণ করা হয়। সরকারবিরোধীরা এই প্রতিবেদন নিয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করে। তবে তা সফল হয়নি।
২০২১ সালের সবচেয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপূজার সময়। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল যে বাংলাদেশের, মাঝে ঘটেছিল ছন্দপতন; তার পর আবারও শুরুর ধারায় চলার পথে যখন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছিল, তখন জন্মের লক্ষ্যকে কালিমালিপ্ত করেছে দুর্গাপূজার মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলা। তিন দশক আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর আর ২০০১ সালে নির্বাচনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মাত্রা ছিল ব্যাপক। এর পর বিচ্ছিন্নভাবে নানা সময়ে হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ সম্প্রদায় আক্রমণের শিকার হলেও এই বছরের দুর্গাপূজার সময় হামলার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতের অন্যসব ঘটনা ছাপিয়ে যায়। এ ঘটনা বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। হামলা ঠেকানো ও সম্প্রীতি রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকাও ছিল অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।
বছর জুড়ে তেমন রাজনৈতিক উত্তাপ চোখে পড়েনি। বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই আটকে আছে দেশের রাজনীতি। এর মধ্যেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন, বিতর্কিত সব মন্তব্য করেছেন। বেফাঁস কথা বলে আগের বছরের মতোই এ বছরের শুরু থেকে আলোচনায় ছিলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সেখানে খুনাখুনির ঘটনাও ঘটেছে। পরে তিনি নিজেকে আড়ালে নিয়ে যান। ২৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। একই কারণে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তাকে স্থায়ীভবে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠিয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।
লাগামহীন কথাবার্তার জেরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসানকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠিয়েছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। বড় পদে না থাকলেও মুখ ফসকানো কথার জন্য সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহীর তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। মুখের লাগাম ধরে রাখতে না পারার উদাহরণ আছে বিরোধী দলেও। নিজের বক্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। কেবল কথা ও বুলি কপচিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের যে রাজনীতি, ওই রাজনীতি দেশকে একটি বন্ধ্যা পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। আসলে আদর্শহীন রাজনীতিচর্চার কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্রমেই কমছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর নীরবতা ছিল পীড়াদায়ক। রাজনীতি এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও ঘরোয়া আড্ডার মধ্যে বন্দি হয়ে আছে। রাজনৈতিক দলগুলো নীরব ভূমিকা পালন করলেও গণপরিবহনে নৈরাজ্য নিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা নানা রকম আন্দোলন করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেলেও তা নিয়ে কোনো সংগঠিত শক্তি কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করেনি। বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কথা চালাচালি আর হুমকির মধ্যেই আটকে আছে।
করোনার কারণে বিদায়ী বছর মাঠপর্যায়ের রাজনীতিতে কর্মসূচি ছিল অনেক কম। মাঠের রাজনীতি তেমন না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। আর এই সংঘাত সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে। গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী সংঘাতে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে।
২০২১ সালে বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সংগঠিত হতে পারেনি। তারা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি, এমনকি অস্তিত্বের টানাপড়েন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। অন্যদিকে দক্ষিণপন্থি মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংঘটিত হয়েছে। আগামী দিনে দেশে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক অভিমত প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে আমরা বিখ্যাত বেশ কয়েক ব্যক্তিকে হারিয়েছি। কথাসাহিত্যিক ও লেখক রাবেয়া খাতুন, বশির আল হেলাল, বুলবুল চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, ওয়াসিম, কায়েস চৌধুরী, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মওদুদ আহমদ, আবদুল মতিন খসরু, রাজনীতিবিদ ও প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমাম, ফেনীর আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী, সংগীতশিল্পী ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, মিতা হক, ফকির আলমগীর, ওস্তাদ জুলহাস উদ্দিন আহমেদ, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী, লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ, অভিনেতা, শিক্ষাবিদ ও নাট্যকার ড. এনামুল হক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, একাত্তরের রণাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখা শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীসহ অনেককে হারিয়েছি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের চলে যাওয়া আমাদের শিল্প-সাহিত্য ও রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বিদায়ী বছরে করোনা সংকটের মধ্যেও জাতির পালন করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এক অন্যরকম মুক্তিযুদ্ধের গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল গোটা দেশেই। দুই দফা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণিল আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সার্কভুক্ত পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। বিশের সব প্রভাবশালী দেশই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেছেন। সর্বশেষ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করে দেশবাসী পার রাখতে চলেছে আরেকটি নতুন বছরে। চিরায়ত নিয়মেই নতুন বছর ঘিরে মানুষের রয়েছে অনেক আশা-আাকাঙ্খা আর স্বপ্ন। নতুন বছরের আগমণী লগ্নে দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে শান্তি আর নিরাপত্তার। করোনার দংশন হৃদয়ে নিয়ে দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছে নতুন বছরে সচল জীবিকার।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন