ওমিক্রনকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনকে হালকা বা মৃদু হিসাবে বিবেচনার সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এটি অনেক বেশি সংক্রমণশীল। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে শুরুতে কম মৃত্যু হলেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আগের করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে মানুষের গুরুতরভাবে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সম্প্রতি শনাক্ত এই ধরনে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের চাপের মুখে ফেলেছে।

ড. গেব্রেইসাস বলেন, যদিও ওমিক্রন ধরনটি ডেল্টার তুলনায় কম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য। তবে এর মানে এই নয় যে এই ধরনটিকে মৃদু হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে। আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই ওমিক্রনে আক্রান্ত মানুষদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে এবং এর প্রভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, মূলত আক্রান্তের এই ঢেউ এতোই বিশাল এবং এতোটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে; যে এটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রবল চাপের মুখে ফেলেছে। ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক এবং দুই ডোজ টিকা দেওয়া হলেও মানুষ এতে সংক্রমিত হতে পারে। এরপরও ভ্যাকসিন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে আপনার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে, ফলে আপনার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

তিনি আরও বলেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা নিলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় আইসিইউতে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল।

দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোকে সহায়তা করতে সেখানকার মানুষদের মধ্যে বড় আকারে টিকা বিতরণের আহ্বান জানিয়ে ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইসা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে টিকার আওতায় আনা। তবে ভ্যাকসিন বিতরণের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও প্রধান ধারনা করছেন যে ১০৯টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন