সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে প্রায় ১০৭৪ জন দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সঞ্চালনা করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ ইমরান জমাদ্দার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বেশি সাফল্য দেখিয়েছে।বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাহায্য-সহায়তা সর্বত্র প্রতীয়মান। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের অসহায় দরিদ্রদের জন্য সবসময় সাহায্য করে আসছে। এমনকি যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ভূমিকা অনন্য। কৃষকের ধান কেটে খাদ্য সঙ্কট দুর করাসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সেটা সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।'
তিনি আরো বলেন, 'আমরা মানবিক সহায়তা পোঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা মানুষের পাশে আছি এবং আজীবন থাকব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বেশি সাফল্য দেখিয়েছে। আজ বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল। আর সব কিছুই শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।'
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দেশ ও জনতার জন্য কাজ করার জন্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম তারই আদর্শে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় গরিব মেহনতি মানুষের পাশে সচেষ্ট। তারাই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা এই সংগঠনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। প্রতিবছর আমরা এই কার্যক্রম করে আসছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এই কর্মকাণ্ড বিরাজ থাকবে।এখনো কৃষকের ধান কাটা থেকে শুরু করে মানব সৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।'
তিনি আরো বলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এ ছাত্র সংগঠন নিজেদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেকেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। কাজের মাধ্যমে ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর পদার্পণ করেছি। এই ৭৪ বছরের ইতিহাস বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস। জাতির পিতা বলে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের ইতিহাস এই বাংলার ইতিহাস। বাংলাদেশের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে প্রত্যেকটি জাতীয় অর্জন এবং সকল আন্দোলন, সংগ্রামের মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছে যে সংগঠনটি সেটি হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।'
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ ইমরান জমাদ্দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে ১০৭৪ জন দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন