জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ পরিস্থিতিতে সামগ্রিক লকডাউনের পথে না গিয়েও ক্রমশ কড়াকড়ির পথে হাঁটছে দিল্লি।
জানা গেছে- হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালায় বসে ভোজন বন্ধ করার পর এবার দিল্লিতে বন্ধ হতে চলেছে সমস্ত বেসরকারি কার্যালয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়িতে বসেই সারবেন অফিসের কাজ। সে অনুসারে জারি করা হয়েছে নতুন নির্দেশনা।
জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে অবশ্য ছাড় দিয়েছে দিল্লি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ)।
এতদিন ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে চালু ছিল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এবার সেই নিয়মে বদল আনল ডিডিএমএ। নয়া নির্দেশিকায় সব বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ওই সমস্ত অফিসের ১০০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। প্রত্যাশিতভাবেই জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন-সংক্রমণ মোকাবিলায় সোমবারই বন্ধ হয়েছিল দিল্লির রেস্তোরাঁ, হোটেলে বসে খাওয়া-দাওয়া। বলা হয়েছিল, খাবার কিনে তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে হবে। চালু থাকবে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা।
রাজধানী দিল্লিতে সোমবার ১৯ হাজারের বেশি নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। যা রোববারের (২২ হাজার ৭৫১) তুলনায় খানিকটা কম হলেও সামগ্রিক বিচারে প্রচুর। সোমবার রাজধানীতে সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। যা গত ৫ মে’র পর সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি দিল্লি সরকার।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই শহরে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছবে। এমনও হতে পারে, আমরা বর্তমানে সংক্রমণের চূড়াতেই অবস্থান করছি। তারপর থেকে ক্রমশ নামবে সংক্রমণ।’ এই পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেই সংক্রমণ মোকাবিলার পথে যাচ্ছে দিল্লি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন