জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসমি করে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান।
জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন জানান, মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। রোববার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের কর্তব্যকাজে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২০০ থেকে ৩০০ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। কর্তব্যরত পুলিশের সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটানি করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করাসহ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৩১টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনেরও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও যুক্ত করে আন্দোলনে মত অব্যাহত রখেছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি শিক্ষা ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের তালা ভেঙে পুলিশি নিরাপত্তায় ভিসিকে বের করে আনা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন