সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
২০ জানুয়ারি, শহীদ আসাদ দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানী স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচী এবং কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে গর্জে ওঠে সারাবাংলার মানুষ। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে গুলি চালায় পাক হানাদার বাহিনী। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ।
আজ ২০ জানুয়ারি ( বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটসংলগ্ন শহীদ আসাদ স্মৃতিসৌধে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন আসাদ। তার পুরো নাম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে বেগবান হয়েছিল তৎকালীন স্বৈরাচার আইয়ুববিরোধী আন্দোলন। আসাদ শহীদ হওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ২৪ জানুয়ারি পতন ঘটে আইয়ুব সরকারের। বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দাবি তরান্বিত করতে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আসাদের রক্তে লাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। রক্তের সেই দাগ মুছে গেলেও মানুষের হৃদয় থেকে মুছবে না তার কীর্তি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন