মৃত্যুর আগে জায়েদের বিরুদ্ধে যা বলেছিলেন শিমু

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু মৃত্যুর আগে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এফডিসিতে আন্দোলন করেছিলেন। কারণ অভিনেত্রীর সদস্যপদ বাতিল করেছিল মিশা-জায়েদ প্যানেল কমিটি।

সমিতির ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন শিমু। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন সক্রিয়।

 

মৃত্যুর কয়েকদিন আগে শিমু এফডিসিতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার সদস্য পদ বাতিল করা ছিল জায়েদ খানের ব্যক্তিগত আক্রোশ। আমি সিনেমা জগতে আসি ২০০৪ সালে। জায়েদ আসে ২০০৭-এ। আমি যখন নায়িকা তখন জায়েদ খান সিনেমায় চান্স পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিল। সে কোন সাহসে আমাকে বাদ দিতে পারে?

তিনি আরও বলেছিলেন, আমাকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে সমিতি জানাল, দুই বছর সিনেমার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে তাকে শিল্পী সমিতিতে রাখা হবে না। আমার শেষ ছবি ছিল জামাই শ্বশুর, অমিত হাসানের বিপরীতে ( দুই বছরের বেশি আগে)। যে কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, শাবানা ম্যাডাম, ববিতা ম্যাডাম থেকে এ নিয়ম শুরু করেন। আমি তো অনেক পরে আসছি। তারা তো অনেক বছর সিনেমা করেন না। আসলে আমি বুঝতে পারছি এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশ কাজ করছে। আমার ভোট আমি যাকে খুশি তাকে দিব। শাকিবকে দিব, মৌসুমী আপুকে দিব। আমার যাকে ভালো লাগে। আমার ভোটটা সে (জায়েদ খান) পাবে না, তাই আমাকে বাদ করে দিয়েছে। এফডিসিতে এসে একজন শিল্পী তৈরি হতে অনেক শ্রম দিতে হয়। আর সে (জায়েদ খান) এক কথায় বাদ দিয়ে দেন একজন শিল্পীকে। শিল্পী কি জিনিস সে বুঝে? এই সাধারণ সম্পাদক আমি চাই না।

গত সোমবার কেরানীগঞ্জের আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার স্বামী ও গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। শিমুকে হত্যার দায় শিকার করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল। দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে জানায় পুলিশ।

এদিকে প্রথমসারির অভিনেত্রী না হলেও দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শিমু। ১৮টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

 


মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন