জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর জন্য দায়ী পাকিস্তানী সেনাদের বিচার চেয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই দাবি জানিয়েছেন সংস্থাটিতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি। একইসঙ্গে তিনি ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদেরও বিচার দাবি করেন।
জাতিসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা দেখছি, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহর কী পরিমাণ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের দফতর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নগরাঞ্চলে সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের শহরসমূহে বসবাসকারী লোকজন।
তিনি বলেন, এখনো অনেক দেশ আছে, যারা নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার জন্য ন্যায়বিচার পায়নি। বাংলাদেশ সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭১ সালে সাবেক পূর্বপাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশের নগরাঞ্চলে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ভারত মনে করে, এই গণহত্যার ন্যায়বিচার হওয়া উচিত।
ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভারত বহুদিন ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার চেয়ে আসছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তাদের আজও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি।
কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, সশস্ত্র সংঘাতগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যেমে সমাধান করতে হবে।
মুম্বাই হামলার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে জতিসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অটল থাকা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন