জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে কুমারীত্ব হারানোদের মাঝে অনেকেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনেন। এই অস্ত্রোপচারকে অনৈতিক আখ্যায়িত করে যুক্তরাজ্যে নতুন আইন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কুমারীত্ব ফেরানো অস্ত্রোপচার করা অপরাধ।
কুমারীত্ব বলতে বুঝানো হয়, অক্ষত সতীচ্ছদ পর্দা। নারীদের যৌনাঙ্গের মুখের দিকে একটি ঝিল্লির মতো পর্দা থাকে, যাকে বলা হয় সতীচ্ছদ। যৌন মিলনের ফলে এটা ছিঁড়ে যায় বা ফেটে যায়। অবশ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, আরও অনেক কারণে সতীচ্ছদ ফেটে যেতে পারে। যেমন- সাইকেল চালালে, গাছে ওঠার অভ্যাস থাকলে, দৌড়ঝাঁপের সময়, খেলাধুলার সময়ও ফেটে যেতে পারে। ফেটে যাওয়া সতীচ্ছদ পর্দা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফেরানো সম্ভব। এর নাম ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নারীর ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই হোক, হাইমেনোপ্লাস্টি বেআইনি বলে গণ্য হবে। গত বছর জুলাইতেই এই আইন আনার অঙ্গীকার করে ব্রিটেন সরকার। সে সময় থেকেই চিকিৎসক, নার্স এবং এ নিয়ে প্রতিবাদীরা এই অস্ত্রোপচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানায়। এই নতুন আইন সেই সকল নারীদের সাহায্য করবে যাদের পরিবার দিনের পর দিন হাইমেনোপ্লাস্টি করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজির প্রেসিডেন্ট ড. এডওয়ার্ড মরিস বলছেন, চিকিৎসা শাস্ত্রের নীতিতে হাইমেনোপ্লাস্টি কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। কুমারীত্ব পরীক্ষা এবং তথাকথিত কুমারীত্ব ফেরানোর এই শল্য চিকিৎসার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন