জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত নতুন বেতন-ভাতা আগামী মার্চ মাস থেকে কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক আর্থিক সক্ষমতা পর্যালোচনায় নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো ১ মার্চ থেকে এবং আগে অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো ১ এপ্রিল থেকে নতুন বেতন-ভাতা কার্যকর করবে। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক আর্থিক সক্ষমতা পর্যালোচনায় নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে নিম্নে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো-
২০১৩ সালে লাইসেন্স প্রাপ্ত চতুর্থ প্রজন্মের সব তফসিলি ব্যাংক ও তৎপরবর্তীতে স্থাপিত তফসিলি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লি. এর এন্ট্রি লেভেলের জেনারেল সাইডে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি বাবদ ৩৯,০০০ টাকা এবং ক্যাশ সাইডে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি বাবদ ৩৬,০০০ টাকা প্রদানের লক্ষ্যে মূল বেতন ও ভাতাদি নির্ধারণ করতে হবে। উক্ত নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদির মধ্যে মূল বেতন চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে এবং অবশিষ্ট ভাতাদি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। তবে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকেই সব বেতন-ভাতাদি দিতে পারবে।
এছাড়া নতুনভাবে নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি কার্যকর করার পর একই পদে আগে থেকে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি/সমন্বয় করে পে-ফিক্সেশন করতে হবে।
উল্লেখিত সব ব্যাংকে শিক্ষানবিস হিসেবে কর্মরত এন্ট্রি লেভেলের জেনারেল সাইডে কর্মরত কর্মকর্তাদের জন্য সাকুল্য বেতন হিসেবে ন্যূনতম ২৮,০০০ টাকা এবং ক্যাশ সাইডে কর্মরত কর্মকর্তাগণের জন্য সাকুল্য বেতন হিসেবে ন্যূনতম ২৬,০০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। নতুন নির্ধারিত বেতন এবং বর্তমানে প্রাপ্ত সাকুল্য বেতনের সঙ্গে যে পার্থক্য হবে তার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। তবে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকেই সব বেতন-ভাতা দিতে পারবে। বর্ণিত ব্যাংকগুলোর জেনারেল সাইড এবং ক্যাশ সাইডের শিক্ষানবিস কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্ধারিত সাকুল্য বেতন যথাক্রমে ২৮,০০০ টাকা এবং ২৬,০০০ টাকা ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। ম্যাসেঞ্জার/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী/অফিস সহায়ক অথবা সমজাতীয় পদে/সর্বনিম্ন যে কোনো পদে নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক বা দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব বিভাগীয় শহরসহ নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহর এলাকায় কর্মরত কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ২৪,০০০ টাকা, অন্যান্য জেলা শহরে কমর্রত কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ২১,০০০ টাকা এবং দেশের অন্যান্য উপজেলা/অঞ্চলে কমর্রত কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ১৮,০০০ টাকা।
উল্লেখিত ব্যাংকের ক্ষেত্রে বর্ণিত কমর্চারীদের জন্য নতুন নির্ধারিত বেতন এবং বর্তমানে প্রাপ্ত সাকুল্য বেতনের যে পার্থক্য হবে তার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। তবে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাইলে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকেই সব বেতন-ভাতা দিতে পারবে।
এছাড়া অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে আলোচ্য গত ২০ জানুয়ারি জারি করা সার্কুলার মোতাবেক কর্মচারীদের জন্য নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে প্রদেয় হবে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বর্ণিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আউটসোর্সিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন