ঢাকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের নাটকীয় জয়

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

বিপিএলে ঢাকার বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট তাদের। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় পেলে প্লে-অফ খেলার বেশ ভালো সম্ভাবনাই থাকবে চট্টগ্রামের। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে ঢাকা। শেষ দুই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শামিম হোসাইনের দারুণ অর্ধশতকে ১৪৮ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ঢাকাকে করতে হতো ৯ রান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে একটি নো বলের পরও মাত্র ৫ রান খরচ করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। তার এই বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচ জিতে নিয়েছে চট্টগ্রাম।

 

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারান ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। ৭ রানে শরিফুল ইসলামের বলে আফিফের তালুবন্দি হন আফগান এই ব্যাটার। তিনে নামা ইমরান উজ জামানও থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ রানে তার বিদায়ের পর টপ-অর্ডারেই আজ ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু কোনো রান ব্যাটে আসার আগেই মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হন মাশরাফি। মাশরাফিকর বিদায়ের পর একপ্রান্ত আগলে রাখা তামিম ইকবালকে সঙ্গ দেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৫৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন এ দুই পাণ্ডব। মাহমুদুল্লাহকে ২৪ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। ছয়ে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছুক্ষণ তামিমকে সঙ্গ দেন শুভাগত হোম। শেষ দিকে এসে শরিফুলের শিকার হয়ে ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা কাইস আহমদ বোল্ড হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে।

কাইসের বিদায়ের পর শেষ ওভারে ব্যাট করতে নামেন নাঈম শেখ। দলকে জেতানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সামনে থাকলেও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার।

অপরদিকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিজের যোগ্যতার জানান দিয়ে ঢাকাকে ১৪৫ রানেই আটকে দেন মৃত্যুঞ্জয়। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ঢাকাকে করতে হতো ৯ রান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে একটি নো বলের পরও মাত্র ৫ রান খরচ করেছেন মৃত্যুঞ্জয়।

৩ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ বলে ৭৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৫ বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন নাঈম। চট্টগ্রামের হয়ে দুইটি করে উইকেট পান শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয়। একটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ ও মিরাজ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই ১ রান করে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান। বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসও। আরাফাত সানির শিকার হয়ে ২৬ রানে বিদায় নেন তিনি।

চারে ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজও ব্যর্থ হয়ে ২ রানে বিদায় নেন। এরপর মাহমুদুল্লাহর বলে ২৭ রানে উইকেট হারান নতুন অধিনায়ক আফিফ।

৫ ব্যাট করতে নেমে জ্বলে উঠেন শামিম। কিন্তু অপরপ্রান্তে আকবর আলি থিতু হতে না পেরে ৯ রানে বিদায় নেন। এরপর শামিমকে সঙ্গ দেন বেনি হাওয়েল। শেষদিকে এসে দারুণ ব্যাট করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন শামিম। ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৭ বলে ৫২ রান করে শেষ ওভারে বিদায় নেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনি হাওয়েল।

ঢাকার পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ছয় বোলারের সবাই। তারা হলেন-মাশরাফি বিন মর্তুজা, আরাফাত সানি, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, এবাদত হোসেন, কাইস আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন