যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে

আজ ২২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে এ রোগে বিশ্বে প্রতি ৫ জন মৃতের মধ্যে একজনেরও বেশি মার্কিনি। এর ফলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে করোনা মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কতটুকু করেছেন সেদিকে জোর দেয়া হচ্ছে। জন্স হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, মঙ্গলবার নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ ৯৯ হাজার ৮১৮। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর তথ্যমতে, যেসব মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন তার মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগেরও বেশির বয়স ৬৫ বছরের ওপরে।    বার্তা সংস্থা রংটার্সের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গড় সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রতিদিন এই ভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাচ্ছেন প্রায় ৮০০ মানুষ। চার সপ্তাহ মৃত্যুহার কমেছিল সেখানে। কিন্তু গত সপ্তাহে তা শতকরা ৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য বিষয়ক ইনস্টিটিউটের পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে তিন লাখ ৭৮ হাজার। ডিসেম্বরে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে তিন হাজার। এ অবস্থায় সমালোচকরা বলছেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে, নভেম্বরের নির্বাচনের আগে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন সোমবার বলেছেন, গত ৬ মাসে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মিথ্যাচার ও অক্ষমতায় আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর অন্যতম দৃশ্য। এটা একটা সঙ্কট। বাস্তব সঙ্কট। এই সঙ্কটে প্রয়োজন সিরিয়াস প্রেসিডেন্সিয়াল নেতৃত্ব। কিন্তু তিনি তা প্রদর্শন করেন নি। তিনি ছিলেন ফ্রোজেন বা নিষ্ক্রিয়। তিনি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আতঙ্কিত। তাই বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে।  উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন টেক্সাস ও ফ্লোরিডায়। এর কাছাকাছি রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। ওদিকে গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট বলে পরিচিত উইসকনসিন সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প বলেছেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার অবসান হয়েছে। এর আগে তিনি করোনা ভাইরাসের বিপদকে গুরুত্ব না দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন সাংবাদিক বব উডওয়ার্থের কাছে। তিনি দাবি করেছেন, মানুষের মাঝে পীড়া সৃষ্টি করতে চান নি।  ওদিকে প্রতিটি বড় জনমত জরিপে জো বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে যেসব রাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাগ্য নির্ধারণ করে, সেইসব সুইং রাজ্যগুলোতে প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলেছেন দু’জনেই। এসব রাজ্যের ভোটাররা নির্দিষ্ট কোনো দলের অন্ধভক্ত নন। তারা যাকে যখন ভাল মনে করেন, তখন তাকে ভোট দেন। এ জন্য এক এক সময় এসব রাজ্যে এক এক দলের প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর মূল ফলাফলে তা অমূল্য অবদান রাখে। এ জন্য এ রাজ্যগুলোকে সুইং স্টেট বলা হয়। করোনা ভাইরাস ও তার সঙ্গে অর্থনৈতিক পতন যেভাবে মোকাবিলা করেছেন তাতে ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের অবস্থান অনেকটা নড়বড়ে হয়েছে | 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন