মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
বাংলার দিগন্ত শিমুলে-পলাশে রাঙা। গাছে গাছে নবীন পাতার গুচ্ছ। প্রকৃতিতে যখন নবীনের উন্মেষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস, তখনই মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় এক মর্মমূল ছেঁড়া বেদনার ঘটনা ঘটেছিল এই বাংলায়। ৭০ বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে। বুকের তাজা রক্তে বসন্তের রাঙা ফুলের মতোই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকার রাজপথ। মাতৃভাষার দাবিতে আত্মদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায় সেদিন সংযোজিত হয়েছিল মানব ইতিহাসে। আজ সোমবার সেই অনন্য স্মৃতিধন্য দিন, আত্মদানের গৌরবের দিন। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে এ দেশের রাষ্ট্রভাষার দাবিতে এক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিক। তাঁদের রক্তের পথ বেয়ে বাংলা এ দেশের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়। বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বেই পালন করা হয়। সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষায় জ্ঞানার্জন : সংকট এবং সম্ভাবনা’। ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব মৌলভীবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। রাত ১২:০১ মিনিটে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। সাথে ছিলেন মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রুমেল আহমদ। উপস্থিত ছিলেন - বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি এম.এ রুমান আহমদ। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সদস্য মামুন আহমদ মুন্না, জয়নাল আবেদীন, সালমান আহমদ, জনি খাঁন, হেলাল আহমদ প্রমূখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন