জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন চুক্তি চূড়ান্ত করতে দুই দেশ কাজ করছে।
হিমাচল প্রদেশের শৈল-শহর সিমলায় সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে বৈঠককালে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ৫৪টি অভিন্ন নদী, যা আসলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পদ ও দায়দায়িত্বের অংশ। গঙ্গার পানিবণ্টনের ঐতিহাসিক চুক্তি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এখন আমরা অন্যান্য নদীতে বাঁধ নির্মাণ ও লবণাক্ততা সমস্যা মোকাবেলায় যা যা করা উচিত সেগুলো রেখে চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ’
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব অবশ্য তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেননি বলে জানা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার ফলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এ চুক্তি সই ঝুলে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই অনুভূত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শ্রিংলা। এ ছাড়া পানি সংরক্ষণ, মত্স্য, বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং নদীদূষণ মোকাবেলায় ব্যাপক সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও সমুন্নত রাখার ওপরও গুরুত্ব দেন। এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, উগ্রপন্থী এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্কই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চাবিকাঠি।
মানুষের সহজ ট্রানজিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে তিনি সীমান্ত অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা এবং আরো সীমান্ত হাট চালুর ওপর জোর দেন। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রিংলা বলেন, প্রথমবারের মতো এ বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় ‘কম্পিহেনসিভ ইকোনমিক কো-অপারেশন’ চুক্তিটি দ্রুত স্বাক্ষর করার ওপর জোর দেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন