২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডি দিবস স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, পিলখানা ট্রাজেডির 'ঘটনার পেছনের রহস্য' উদ্ঘাটন প্রয়োজন। দেশ ও জাতির স্বার্থেই বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতিকে জানানো উচিত সরকারের। সেই সাথে সেনা হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডির একযুগ পূর্তি উপলক্ষে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, পিলখানা হত্যা মামলার অন্যতম রায়দানকারী বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী তাঁর দীর্ঘ রায়ে ‘ঘটনার পেছনের ঘটনা’ উদ্ঘাটনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করলেও আজও তা আলোর মুখ দেখে নাই। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে সামান্য সংখ্যক প্রাচীন অস্ত্র নিয়ে তৎকালীন ইপিআর বাহিনী এক অসামান্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিল। সেই বাহিনীকে যারা বিতর্কিত করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, শহীদ সেনা অফিসাররা সকলেই ছিলেন জাতির সম্পদ। তাদের অভাব পূরন করা খুবই কঠিন কাজ। বাংলার মাটিতে হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের ক্ষমা নাই, যত শক্তিধর হোক না কেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় হতেই হবে একদিন। ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের এদেশের দোসররা বাংলাদেশের পতাকা-মানচিত্র ধ্বংস করতে প্রমেই আঘাত করেছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।
তারা ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি কাছ থেকে জাতি এই ধরনের সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করছে দীর্ঘ সময় যাবত। এই সরকারের কাছে কোন ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা প্রত্যাশা করে না জাতি। ট্রাজিডির একযুগেও যখন জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়না তখন জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, ক্ষোভও সঞ্চিত হয়।
বিডিআর বিদ্রোহকে দেশবিরোধী বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করে নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্রোহের রহস্য উদঘাটনে গঠিত তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট অবিলম্বে জাতির সামনে প্রকাশ করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন